পাখির বন্ধাত্ব
আমার মনেহয় আমাদের দেশে এমন পাখি পালক খুব কম রয়েছে যারা এখন পর্যন্ত পাখির বন্ধাত্ব সমস্যার সম্মুখীন হন নাই। সমস্যা টা খুবই মারাত্মক । এই সমস্যার জন্য পাখি এবং এর মালিক দুইজনকেই কষ্ট পেতে হয়। এই সমস্যার সমাধানের এর জন্য আমি কিছু কারণ খুজে বের করার চেষ্টা করেছি। এই ব্যপারে আমি কিছু বিদেশি বই এর সাহায্য নিয়েছি। আশা করি আমার দেয়া এই তথ্য গুলো আপনাদের সাহায্য করবে ।
পুষ্টি
অপর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং শক্তি পাখির ডিম পারতে এবং উর্বরতার সাথে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।জিংক বেশি খাওয়ালে বন্ধাত্ব দেখা দিতে পারে।পাখি মোটা হলে। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি থাকলে বন্ধাত্ব দেখা দিতে পারে।
জেনেটিক্স
আসলে সব পাখিই ব্রীডিং এর জন্য ভাল না। সবাই ব্রীডিং এর জন্য জন্মায় না। কিছু পাখি জেনেটিকালি দুর্বল থাকে। ছেলে পাখির খারাপ মানের sperm এর ফলে প্রজনন এ ব্যঘাত ঘটতে পারে। খারাপ মানের sperm থেকে এমন বাচ্চার জন্ম হতে পারে যারা শারীরিক ভাবে অক্ষম । ফলে পরবর্তীতে আর ওই বংশের বাচ্চা পাওয়া যাবেনা । এই সমস্যা বেশি প্রকট হয় যখন ছেলে মেয়ে উভয় পাখিই জেনেটিকালি দুর্বল।
শারীরিক
ডিম দেয়া ও ফুটানো অনেকখানি নির্ভর করে শারীরিক অবস্থার উপর। প্রত্যেকটা ফিমেল পাখি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম দেয়ার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। ঐ পাখি থেকে সেই সংখ্যার চেয়ে বেশি ডিম পাওয়া সম্ভব নয়। পাখির শরীর যৌবন কালে যেমন থাকে ডিম দেয়ার জন্য বয়শ বারার সাথে সাথে সেই অবস্থার অবনতি ঘটে । সমবয়সী পাখিদের মধ্যে যারা বেশি শক্তিশালী তারা বেশি ডিম দিতে পারে। দুর্বল পাখি ব্রীড করালে ভাল ফল পাওয়া যায় না । দুর্বল পাখি ব্রীড করিয়ে যে বাচ্চা পাওয়া যায় তাদের মধ্যে শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো অতিরিক্ত মাত্রায় কিছু এন্টিবাওটিক ব্যবহার করলে অস্থায়ী শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। (doxacycline) কিছু কিছু পাখির প্রজননতন্ত্রের অসুখের কারনে বন্ধাত্ব দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে পাকি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সামাজিক কারন
সমকামী পাখিরা অনেক সময় মিলন ঘটিয়ে ডিম পারার চেষ্টা করে থাকে। এই ক্ষেত্রে ফিমেল সমকামী পাখিরা ডিম দেয় যা থেকে কখনই বাচ্চা পাওয়া যায় না। মেল সমকামী পাখিরা মিলন করলেও ডিম পারতে পারেনা।
পরিবেশগত কারন
চরম তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে অস্থায়ী বন্ধাত্ব দেখা দিতে পারে । পাখির বসার লাঠি ঠিক না থাকলে সমস্যা হতে পারে। বসার লাঠি যদি ঠিক না থাকে আর নেস্ট বক্স এর সাথে যদি লাঠি না থাকে তাহলে মিলন সম্পূর্ণ নাও হতে পারে। পাখির থাকার পরিবেশ যদি পাখির জন্য ভিতিকর হয়ে থাকে তাহলে ব্রীড নাও করতে পারে।
বিজ্ঞানের অভিশাপ
আমাদের দেশ এখন যোগাযোগ প্রযুক্তির খাতে অনেক এগিয়েছে। এখন কম বেশি সবার বাসাতেই ইন্টারনেট মোডেম, ওয়াইফাই রাউটার, আছে। আর মোবাইল নাই এমন বাসা খুজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু এই সব ডিভাইস থেকে অনেক বেশি রেডিয়েশন নির্গত হয়। যা পাখির ডিম নস্ট করে দেয়। পাখিদের বন্ধ্যা করে দিতে কাজ করে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে মোবাইল বা ইন্টারনেট এর নেটওয়ার্ক টাওয়ার। যাদের বাসার কাছে নেটওয়ার্ক টাওয়ার আছে তাদের হয় পাখি পালা বন্ধ করতে হবে নাহয় অন্য কোথাও পাখি পালার ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই হয়ত ব্যপারটা জানতেন কিন্তু আপনার পাখির ব্রীড না করার পিছে এই ব্যপার কাজ করে এটা চিন্তা করে দেখেন নাই।
বিজ্ঞানের অভিশাপ
আমাদের দেশ এখন যোগাযোগ প্রযুক্তির খাতে অনেক এগিয়েছে। এখন কম বেশি সবার বাসাতেই ইন্টারনেট মোডেম, ওয়াইফাই রাউটার, আছে। আর মোবাইল নাই এমন বাসা খুজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু এই সব ডিভাইস থেকে অনেক বেশি রেডিয়েশন নির্গত হয়। যা পাখির ডিম নস্ট করে দেয়। পাখিদের বন্ধ্যা করে দিতে কাজ করে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে মোবাইল বা ইন্টারনেট এর নেটওয়ার্ক টাওয়ার। যাদের বাসার কাছে নেটওয়ার্ক টাওয়ার আছে তাদের হয় পাখি পালা বন্ধ করতে হবে নাহয় অন্য কোথাও পাখি পালার ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই হয়ত ব্যপারটা জানতেন কিন্তু আপনার পাখির ব্রীড না করার পিছে এই ব্যপার কাজ করে এটা চিন্তা করে দেখেন নাই।
No comments:
Post a Comment