অনেকেই বন্য পাখি পালেন, অনেকেই আছেন পালেন না কিন্তু ইচ্ছা আছে। কেউ কেউ আবার ভাবেন আমার দেশের পাখি থাকতে বিদেশি পাখি কেন পালব? আর বিদেশি পাখি কি বন থেকে আসে নাই?
আমরা যেসব পাখি পালি তারাও বন থেকেই এসেছিল কিন্তু এখন না কয়েকশ বছর আগে তাদের পূর্ব পুরুষ বনেই থাকত কোন এক সময় কিছু মানুষ সেসময় বন থেকে কিছু পাখি এনে খাচায় পুষত আর ওই খাচায় নতুন প্রজন্মের সৃষ্টি হয় যাদের কে আমরা এখন কেইজ বার্ড বলি। কেইজ বার্ড আর খাচায় ধরে এনে রাখা পাখির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। পাখিদের শারীরিক এবং মানসিক গঠন টাই এমন যে তারা উড়ে বেড়াবে, মুক্ত ভাবে চলাফেরা করবে। উড়ে বেড়ানো আর স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করাই তাদের জন্য স্বাভাবিক। খাচায় বন্দি হয়ে থাকা না। কিন্তু যাদের জম্ন খাচায় অর্থাৎ কেইজ বার্ড তাদের হিসাব আলাদা। তারা বাইরের পৃথিবীর সম্পর্কে কিছু জানে না আর বাইরের পরিবেশ তাদের অনুকুল না। তারা বনে জন্মানো বেড়ে উঠা পাখিদের মত সবল না এবং উড়তে দক্ষ না। যদি এদের ছেড়ে দেয়া হয় মুক্ত পরিবেশে তাহলে এরা টিকে থাকতে পারবে না। আবার বন্য পাখি যদি ধরে এনে খাচায় রাখি তাহলে এদের বেচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ আর বাচিয়ে রাখলেই তো চলবে না। প্রজনন ও ঘটাতে হবে কিন্ত আমরা তা পারছিনা সবাই পারবেওনা। এরজন্য দরকার সঠিক অনুকুল প্রজনন খেত্র সাথে দরকার অনেক পড়াশোনা এবং গবেষণা। কেউ যদি এনিমেশন সিনেমা RIO দেখে থাকেন তাহলে বুঝবেন যে বন্য পাখি প্রজনন এর জন্য কেমন ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিন্তু আমাদের সবার পক্ষে সেই ব্যবস্থা করা সম্ভব না। যাদের কাছে খাচার পাখিই বাচেনা সঠিক যত্ন পায় না তাদের কাছে বন্য পাখির সঠিক পরিচর্যা আশা করা তো সপ্নের বিষয়। আর ব্যবস্থা করলেই যে তারা প্রজনন করবে তার ও কোন নিশ্চয়তা নাই।
অস্ট্রেলিয়ার বাজরিগার বা ককাটিয়েল অনেক বছর আগেই কেইজবার্ডে পরিণত হয়েছে। সেদেশে আমাদের দেশের মত বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে না।
অপরদিকে আমাদের দেশের বনাঞ্চল এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ দুইটাই আমাদের দেশের মানুষ প্রতিযোগিতা করে ধ্বংস করছে সাথে জীব ও পাখিদের ও। গুনে শেষ করা যাবেনা এত প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন সরকার উদ্যোগ নিলে আমাদের দেশি পাখির প্রজনন বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে পারে। গাছ লাগান। পাখিদের বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করেন। দেশ আমাদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। যদি জীব আর পাখি বিলুপ্ত হতে থাকে তাহলে দেশের পরিবেশে নস্ট হবে। কারন এগুলো প্রত্যেকটি বাস্তুতন্ত্রের অংশ।
No comments:
Post a Comment